চট্টগ্রামের প্রথম নারী ছিনতাইকারী ফারজানা ও রুবেল স্বামী-স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী দুই জনই ছিনতাইকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। ছিনতাই এর সময় রুবেলের প্রধান টার্গেট থাকে মেয়ে।
মেয়েদের গলার চেইন, কানের দুল ছোঁ মেরে সে নিয়ে যায়। এসময় আক্রান্ত মেয়ের গলা কান ছিড়ে রক্তাক্ত হয়ে যায়। সাধারণত রাস্তার পাশে চলাচলরত মহিলাদের চেইন টান দিয়েই রাস্তা পার হয়ে যায় সে। আর এই কাজ করে পালানো পর্যন্ত তার সময় লাগে মাত্র ৩ সেকেন্ড!
চট্টগ্রামের শীর্ষ ও বর্বর ছিনতাইকারী এই রুবেল (২৮) কে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয়। আজ বিকেলে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ ডেবারপাড় পালকী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গত ১৯ জুলাই কোতোয়ালী থানার আন্দরকিল্লা এলাকায় ছিনতাইয়ের পর রুবেল পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি, এক রাউন্ড কার্তুজ, একটি ছোরা এবং ছিনতাইকৃত ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইনের ৫ আনা উদ্ধার করা হয়। এর আগে লুণ্ঠিত এসব স্বর্ণ কেনার অভিযোগে ক্রেতা সুজন ধর (৩৭) কে বায়েজিদ ডেবারপাড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার এস আই অর্ণব বাদী হয়ে রুবেল এবং তার পলাতক সহযোগী জামাল প্রকাশ বুষ্টার জামালের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছেন। উদ্ধারকৃত স্বর্ণ এবং আসামি সুজন ধরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রুবেলের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ১১ টি মামলা আছে।
চট্টলা২৪/ছিনতাইকারী