বান্দরবান প্রতিনিধি।। বান্দরবান শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন সড়কে পার্বত্য চট্টগ্রাম সচেতন ছাত্র সমাজ ও নাগরিকবৃন্দের আয়োজনে এবং বান্দরবান জেলা জেএসএস (মূল) ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) এর পৃষ্ঠপোষকতায় বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে ম্রো উপজাতিদের উচ্ছেদ করে ফাইভ স্টার হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণের প্রতিবাদে একটি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে ব্যানারে ম্রো জাতিদের উচ্ছেদের কথা বলা হলেও দেখা মেলেনি কোন ম্রো জাতির মানুষকে। বরং মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পিসিপি (জেএসএস মূলদল সমর্থিত) সভাপতি থোয়াইং ক্য জাই চাক, জেএসএস (মূল) বান্দরবান জেলার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াংঙান ম্রো, মার্মা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি হ্লা চিং নু মার্মা, তঞ্চ্যঙ্গা স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি অনিক তঞ্চ্যঙ্গা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট সভাপতি সুরেশ ত্রিপুরা, বান্দরবান জজ কোর্টের এডভোকেট উবা থোয়াই মার্মা।
ম্রো দের কে ছাড়াই, ম্রোদের নাম নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও জেএসএস মূল দলের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন গুলোই মূলত অপপ্রচার ও পাবত্য চট্টগ্রামের জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এধরনের মানব বন্ধন করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্যই হলো পাহাড়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাঁধা প্রদান করে সরকারের বিরোধিতা করা এবং আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা।
এছাড়াও, পার্বত্য এলাকায় উন্নয়ন হলে জেএসএস মূল দলের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও চাঁদাবাজী বন্ধ হয়ে যাবে জেনেই তারা ম্রোদের কে উচ্ছেদ করে হোটেল নির্মাণ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও বিবৃতি দিয়ে মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে । অথচ উক্ত নির্মাধীন এলাকায় কোনকালেই ম্রো দের বসবাস ছিলনা এবং এখনও নেই।
উল্লেখ্য যে, নির্ধারিত এলাকায় এধরণের অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র বা হোটেল নির্মাণ হলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পর্যটন শিল্পে এক অনন্য ধারা সংযোজিত হবে। সেইসাথে উক্ত এলাকাবাসী তথা বান্দরবান এর বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও জীবিকা নির্বাহেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।