বরগুনা সদর উপজেলায় আমতলী-নিমতলীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পরিকল্পিত ভাবে ভূমিদস্যদেরহামলায় নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি বরগুনার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান নিশ্চিত করে বলেন তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬-৭ জন কে একটি মামলা করেছেন মোসা. শম্পা বেগম।
আহত তারা হলেন: সাইফুল ইসলাম আলম (৬৮) আনোয়ার হোসেন (৫০) মো. আবুল বাশার (৬০) মোসা. শম্পা বেগম (৪৩) মোসা. স্বপ্না বেগম (৩৫)
হামলা কারি হলেন: মো. হারুন বিশ্বাস (৪০) মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (৪২) রাজুকুল ইসলাম আজম (৪৫)
জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলা সদর ইউনিয়নের আমতলী-নিমতলীত এলাকায় রবিবার ২ সেপ্টেম্বর সকালে রাজুকুল ইসলাম আজমের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে জমি দখল করতে আসেন এসময় মোসা. শম্পা বেগম জমি দখলে বাধা দিলে মারধর করা শুরু করেন এ সময় খবর পেয়ে মোস. সম্পা বেগম এর আত্মীয়রা আসেন তাদের উপরও অতর্কিত হামলা করেন পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে সেখানেও আবাও মিরাজুল ইসলাম মিরাজসহ সন্ত্রাসী বাহিনীরা জীবননাশের হুমকি দেয়। এসময় হাসপাতালের কর্মীরা তাদের জরুরি বিভাগ থেকে সরিয়ে বিভিন্ন কক্ষে চিকিৎসা দেয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মোসা. সম্পা বলেন, আদালতে মামলা চলছে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এ জমি আমরা চাষাবাদ করে আসছি। হটাৎ জমি দখল করার চেষ্টা করেন এ সময় বাদা দিলে মো. হারুন, মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, মো. রাজুকুল ইসলাম আজমসহ বেশ কিছু সন্ত্রাসীরা আমাদের উপরে হামলা করে। এরা স্থানীয় ভূমিদস্য এদের ভয়ে কোন লোকজন কথা বলে না। আমরা অসহায় মানুষ দেখে আমাদের উপরে অত্যাচার করে আসছেন। আমি এদের সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয় বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল হালিম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে দু’গ্রুপের মধ্য সংঘর্ষ হয়। তাদের সাথে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।