শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামে আরাফাতসহ ২৮ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং চট্টগ্রামের ২৮ জন সাংবাদিকসহ মোট ১০৯ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যায় উস্কানীমূলক সংবাদ পরিবেশন, অপহরণের চেষ্টা, আক্রমণ এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে চট্টগ্রামের একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার কলেজ শিক্ষক হাসিনা মমতাজ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত এ অভিযোগটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামলার বাদি হাসিনা মমতাজ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। তিনি কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হাসেমের মেয়ে।

মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক আজাদীর শুকলাল দাশ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও আজাহার মাহমুদ, সময় টিভির কমল দে, ইনডিপেনডেন্ট টিভির অনুপম শীল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, বাংলানিউজ২৪ এর তপন চক্রবর্তী, ফটোগ্রাফার উজ্জ্বল কান্তি ধর, আজাদীর ঋত্বিক নয়ন ও আমিনুল ইসলাম মুন্না, পূর্বদেশের রাহুল দাস নয়ন, প্রতিদিনের বাংলাদেশের সুবল বড়ুয়া, বিএফইউজে নেতা কাজী মহসিন, একুশে টিভির রফিকুল বাহার ও একরামুল হক বুলবুল, সারাবাংলা ডট নেটের রমেন দাশ গুপ্ত; বিডিনিউজ২৪.কমের মিন্টু চৌধুরীও উত্তম সেন গুপ্ত; সমকালের কুতুব উদ্দিন; দীপ্ত টিভির রুনা আনসারি; ডিবিসি নিউজের মাসুদুল হক, বিশ্বজিৎ রাহা; ভোরের কাগজের সমরেশ বৈদ্য, সিপ্লাসের সৌরভ ভট্টাচার্য, রাশেদ মাহমুদ, হামিদউল্ল্যাহ, আয়ান শর্মা এবং রতন কান্তি দেবাশীষ।

মামলার বিবৃতিতে বাদী অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় প্রকৃত ঘটনা গোপন করে মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেছেন। ৪ই আগস্ট বাদী যখন নিউ মার্কেট এলাকায় ছিলেন, তখন সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সশস্ত্র আওয়ামী লীগ কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলি ছোড়ে অনেককে আহত করে। শিক্ষার্থীরা গলিতে লুকানোর চেষ্টা করলে, সাংবাদিকরা তাদের মারধর করে এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে তুলে দেয়। সাংবাদিকরা প্রকৃত ঘটনাগুলো রিপোর্ট না করে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছেন। অভিযুক্তরা বাদীকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি কোনোভাবে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।

মামলার বাদী মামলার বাদী হাসিনা মমতাজ জানান, আমি মামলায় যে সাংবাদিকদের নাম দিয়েছি তাদের সবাই গণহত্যায় উষ্কানি দিয়েছেন । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনের বিপক্ষে স্টাটাস দিয়েছেন। সাংবাদিকতার আড়ালে তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে দীর্ঘ সময় ধরে। এসব সাংবাদিকদের নাম আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পেয়েছি। সেজন্য তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ‘

সর্বশেষ

আরও পড়ুন
বিষয়

কেইপিজেডে চালু হচ্ছে ১০০ শয্যার আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল, ৫০০ শয্যার আরও একটি নির্মাণাধীন

কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারায় কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (কেইপিজেড)...

বায়েজিদ থানায় ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

  নগরীর বায়েজিদ থানাধীন চা বোর্ডের বিপরীতে সড়কের নির্জন এলাকা...

কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসকসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

  কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও...

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের টেকনাফ সফর

  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির...