ব্যবসায়ীদের গলার কাঁটা বৈষম্যমূলক চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন স্কেল। গত সরকারের আমলে বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপিদের ধারস্ত হয়েও প্রত্যাহার করা যায়নি এই ওজন স্কেল। তবে এটি এবার প্রত্যাহার করতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আসলাম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দেশের সর্ববৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ট্রেড ইন্ডাস্ট্রি এন্ড অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এই আশ্বাস দেন তিনি।
আসলাম চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সড়ক পথে সারাদেশে পৌঁছানো হয়। অথচ সারাদেশে কোথাও কোন ওজন স্কেল না থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে বৈষম্যমূলকভাবে স্থাপন করা হয় ওজন স্কেল। যে কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা ১৩ জনের বেশি অন্য এই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে পারছে না। ফলে অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ের কারণে লোকসানে পড়ছে সারাদেশের সাধারণ ক্রেতারা। এ কারণে খুব দ্রুত এই ওজন স্কেল প্রত্যাহার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি আমার পক্ষ থেকে এই ওজনের স্কেল প্রত্যাহার করতে সব ধরনের সহযোগিতা বিদ্যমান থাকবে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মীর গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, চট্টগ্রামে খুব বেশি পণ্য দরকার হয় না। আমাদের মালামাল দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণ করে। তবে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেলের কারণে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসা চলে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানে। আমদানিকারকরা এখন আর চট্টগ্রামে পণ্য আনলোড করতে চান না। চট্টগ্রাম থেকে তুলনামূলক কোন মালামালই যাচ্ছে না। কারণ ট্রাক ভাড়াই পোষাচ্ছে না। সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহাসড়কের সুরক্ষার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ আইন করা হয়েছে। তাহলে শুধুমাত্র ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের জন্য কেন এই আইন?
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ওজন স্কেল অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছি। এখন আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহণ ভাড়া আগের চেয়ে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু দেশের অন্য কোথাও ওজন স্কেল না থাকায় সেখানকার ব্যবসায়ীদের বাড়তি পরিবহণ ব্যয় গুনতে হচ্ছে না। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরাই ওজন স্কেলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মীর গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ আবদুস সালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ রশীদ আমু, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর পারভেজ, সহ-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ, সহ-অর্থ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ সাজ্জাদ উল্লাহ, সমাজ কল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক খোরশেদ আলম, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের প্রচার, প্রকাশনা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পদক ফরিদুল আলম, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আকবর আলী, সদস্য আমিনুল ইসলাম, এস এম সেলিম, হাজী আবুল কাশেম, জাবেদ ইকবাল, শফিউল আলম, আব্দুল কাদের রিজওয়ান, রাশেদ আলী, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. কামালউদ্দীন, মো. আবুল বশর চৌধুরী, মোসলেম উদ্দীন, আবুল বশর, হাজী বেলাল উদ্দীনসহ অনেকে।
চৌধুরী/চট্টলা২৪