এরপর ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তারেক রহমানের জঙ্গি কানেকশন আবিষ্কারের চেষ্টা করা হয়। এটি করতে চেয়ে মাইনাস ফর্মুলার জনক এই পত্রিকা দুটি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনার সঙ্গে মনগড়া গল্প রচনা করে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিএনপির সঙ্গে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সম্পৃক্ততাকে ‘কল্পকাহিনি’ হিসেবে নাকচ করে দিয়েছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সব আসামিকে খালাস দেন। অথচ প্রথম আলো ২১ আগস্টের ঘটনায় তারেক রহমানের সম্পৃক্ততা প্রমাণে একের পর এক সাংবাদিকতার রীতিনীতিবিরুদ্ধ অসত্য-বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করে। ২১ আগস্টের ঘটনায় প্রথম আলোর কল্পিত আবিষ্কার মুফতি হান্নান। শুধু তা-ই নয়, ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায়ও প্রথম আলো জঙ্গিবাদ আবিষ্কার করেছিল। এই জঙ্গিবাদের ঘটনা নিয়ে বিভিন্নভাবে নানা রকম নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছিল প্রথম আলো গোষ্ঠী। শুধু তা-ই নয়, সারা দেশে জঙ্গিবাদ আবিষ্কারের জন্য প্রথম আলোর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সব স্থানীয় প্রতিনিধিদের। সেই নির্দেশনার অংশ হিসেবে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো, যে প্রতিবেদনের মধ্যে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করে পত্রিকাটি। এই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘জঙ্গিবাদের মদদদাতা বিএনপির ৮ মন্ত্রী-সাংসদ’। বিএনপির ৮ মন্ত্রী-সাংসদকে সরাসরিভাবে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করেছিল প্রথম আলো; যাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক। এ ছাড়া সে এলাকার জনপ্রিয় এমপি ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নাদিম মোস্তফা ও বাংলা ভাইয়ের এলাকার এমপি আবু হেনাকেও তারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে অভিহিত করেছিল। তাঁদের ছবিসহ সংবাদ প্রথম পাতায় শীর্ষ সংবাদ হিসেবে প্রকাশ করে। এটি কত বড় অপসাংবাদিকতা, তা চিন্তারও বাইরে। সরাসরিভাবে একটি রাজনৈতিক দলের আটজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সংসদ সদস্যকে কোনো রকম তথ্য-প্রমাণ ছাড়া জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করাটা একটি ভয়ংকর অপরাধ বটে। কিন্তু এ রকম ঘৃণ্য দেশবিরোধী অপরাধ করেও প্রথম আলো, ডেইলি স্টার গোষ্ঠী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিএনপির শাসনামলে প্রথম আলো একের পর এক জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন কাল্পনিক মনগড়া বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে।
মুফতি হান্নানের বক্তব্য ‘আমি চার জোটের সমর্থক’—এর মাধ্যমে পুরো চারদলীয় জোটকেই প্রথম আলো জঙ্গি হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করেছিল। পরবর্তী সময়ে এটি প্রমাণিত হয় যে মুফতি হান্নানের বক্তব্য ছিল অসত্য। এটা প্রথম আলোর আরেকটি মিথ্যাচার।
বিএনপিকে জঙ্গি রাজনৈতিক দল হিসেবে চিহ্নিত করে প্রথম আলো মূলত বাংলাদেশকেই একটি ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে, যেটি আওয়ামী লীগ বিশ্বব্যাপী প্রচার করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার সুযোগ পেয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতেই প্রথম আলো-ডেইলি স্টার জঙ্গি নাটকে এত আগ্রহী ছিল। আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নেই এসব করে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায় যে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা, দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগ এনে তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনাম। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে নানা রকম দুর্নীতির গালভরা মিথ্যাচার প্রথম আলো, ডেইলি স্টারে লাগাতারভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের তথাকথিত অভিযোগ এনে জিয়া পরিবারকে কলুষিত করা, কলঙ্কিত করার জন্য একটি নোংরা খেলায় মেতেছিল প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার। বিএনপিকে জঙ্গি প্রমাণে এই দুটি পত্রিকা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব ভিত্তিহীন মিথ্যাচার করেছে তার বিচার এখন সময়ের দাবি বলে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে।
ডেস্ক নিউজ/চট্টলা’২৪ হৃদয়